সহজ বাসা বদল: আপনার নতুন শোকার জীবনে সহায়ক।
রাজধানী ঢাকায় বাসা বদল করুন খুব সহজে সহজে: যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদের জন্য বাসা বদল মানে এক ঝামেলার ঝামেলার বিষয়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় বাসা বদলের ঝামেলার কথা ভেবে অনেকেই বছরের পর বছর থেকে যান যান একই বাসায়। বাসা পরিবর্তনের নাম নিলেই অনেকেরই প্রেশার বেড়ে যায়। কারন একমাত্র ভুক্তভোগিরাই জানেন বাসা বদল কত বড় ঝক্কি ঝামেলার বিষয় তবে এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে। বাসা বদলেও আধুনিকায়ন হয়েছে, এখন আর আগের মত মত বাসা বদল ঝামেলার বিষয় নয়। এখন খুব সহজেই বাসা পরিবর্তনের সকল কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে ।
বাসা বদলের রক্ষা কবজ হচ্ছে প্যাকিং:
অনেকেই আছে বাসা বদলের পূর্বে মুভিং কোম্পানীকে কোম্পানীকে বলে থাকে যে, আসবাবপত্র হবেনাতো? দাগ বা স্ক্রেচ পরবেনাতো ইত্যাদি প্রশ্ন? এমন অনেক আছেন যে, তারা গ্যারান্টি সহ সহ কাজ করার নিশ্চয়তা চান! তাদের যদি বলা হয় উন্নতমানের প্যাকিংই হচ্ছে আসবাবপত্র আসবাবপত্র ক্ষতি হইতে একমাত্র একমাত্র রক্ষা কবজ। যদি বাসা বদলের পূর্বে সমস্ত ফার্ণিচার ভালভাবে প্যাকিং করা না হয়, তবে যত সতর্কভাবেই আনলোডিং করা হউক না কেন? ফার্ণিচার ডেমেজ হওয়ার আশংকা থেকেই থেকেই যায়। এজন্য টাকা একটু বেশী খরচ হইলেও প্যাকিং’টা যেন সুন্দর হয় এ বিষয়টি গুরুত্ব গুরুত্ব সহকারে রাখতে হবে। প্যাকিং এর জন্য খরচপাতী একটু বেশী হলেও আপনি উপকৃত হবেন হবেন।
প্যাকিং খরচ বাচাতে গিয়ে দামী ও শখের শখের আসবাবপত্রটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে ইহা মেরামত করার করার যে পরিমান খরচ হয় হয় এর কম খরচে প্যাকিং করানো যেত। আর একবার ফার্ণিচার ডেমেজ হলে কখনও আগের অবস্থায় অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় । এজন্য আমাদের পরামর্শ হলো শিফটিং এর পূর্বে অবশ্যই অবশ্যই উন্নতমানের প্যাকিং নিশ্চিত করুন । যদিও খরচপাতি একটু বেশী হয়।
বাসা বদলের প্যাকিং ধরন:
বাসার আসবাবপত্র স্থানান্তরের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকিং এর এর প্রস্তুতি নিতে হয় যেমন: ব্যবহার্য পোষাক আষাক কাপর চোপর প্যাকিং, বেড শিট, পর্দা, বালিশের কভার, লোপ-তোষক, ইত্যাদি। কাঁচের জিনিসপত্র, ও কিচেনের আইটেম তো আছেই।
1. ইলেকট্রিক আইটেম প্যাকিং: ঘরের ঘরের এপ্লায়েন্স ও ইলেকট্রিক ইলেকট্রিক খোলার পর বাবল পেপার দিয়ে প্যাকিং করুন ক। ইলেকট্রনিক্স ও হোম এপ্লায়েন্স প্যাকিং: ফ্রীজ, এয়ারকন্ডিশন প্যাকিং, ফ্যান প্যাকিং, ওয়াশিং মেশিন প্যাকিং, ইত্যাদি আইটেমগুলো একটু সতর্কতার অভাবে ময়লা বা দাগ লেগে যায়। ফলে দেখতে বিশ্রী দেখা যায়।
2. মেট্রেস প্যাকিং: ঘরের মেট্রেস খাট থেকে থেকে নামিয়ে স্ট্রেচ রেপিং দিয়ে পেচাতে হবে। নতুবা ময়ল হয়ে । মেট্রেস ময়লা হলে দেখতে খারাপ দেখা যায়। মেট্রেস রেপিং না করলে ওয়ার্কাররা কাজ করার করার সময় তাদের গায়ের ময়লা ও ঘাম লেগে কি হয় একবার ভাবুনতো, এগুলোতো ধোয়াও যায়না ফলে এ অবস্থায়ই ব্যবহার হয় এজন্য মেট্রেস ও জাজিম অবশ্যই প্যাকিং করে শিফটিং করতে হবে হবে
3. সোফা প্যাকিং: সোফা সোফা এর পদ্ধতিটা ভিন্ন রকমে করতে। প্রথমে সমস্ত ফোম নামিয়ে আলাদা করতে হবে, তারপর ফোমগুলো পলি দিয়ে রেপিং করতে করতে হবে। যদি অত্যন্ত দামি ও বিদেশী সোফা হয় হয় তবে সোফার প্রতিটি অংশ/ কাঠ আলাদা ফোম ও বাবল পেপার দিয়ে রেপিং রেপিং করতে হয় হয় হয়। সাধারন সোফা হলো পুরোটাকে করিগেটেড কার্টুন দিয়ে পেচিয়ে পেচিয়ে প্যাকিং করে লাগিয়ে লাগিয়ে দিতে হয়।
4. ক্রোকারিজ ও কিচেন প্যাকিং: বাসা শিফটিং এর জন্য জন্য ব্যবহার্য ক্রোকারিজ ক্রোকারিজ, কাচের জিনিসপত্র, হাড়িপাতিল, এন্টিক ও দামি আইটেম, শো-পিস অত্যন্ত অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্যাকিং করতে হয়। এসব প্যাকিং করতে বিভিন্ন রকমের ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করতে হয়। ক্রোকারিজ বিভিন্ন ভাবে প্যাকিং করা যায় যেমন যেমন শুধু নিউজ প্রিন্ট পেচিয়ে পেচিয়ে, ফোম পেপার, বাবল পেপার। বাবল পেপার দিয়ে প্যাক করলে সাধারনত খরচ বেশীই বেশীই হয়ে থাকে তবে লোকাল বাসা বদলের জন্য বাবল রেপ দিয়ে প্যাকিং না না করলেও হয়। যাই হোক যেভাবেই রেপিং করে কার্টুন বক্সে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কার্টুন বক্সে কোন ফাকা যায়গা না তবে তবে ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা থাকে।
5. হাড়ি পাতিল প্যাকিং: হাড়ি পাতিল সাধারনত রেপিং প্রয়োজন প্রয়োজন হয়। চাইলে বস্তার মধ্যে রাখতে পারেন। আবার কার্টুন বক্স এ ভরেও নিতে পারেন পারেন। একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ভঙ্গুর কোন জিনিসপত্র জিনিসপত্র প্যাকিং ছাড়া বক্স এ বহন করা যাবেনা।
6. ফার্ণিচার প্যাকিং: বাসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্যাকিং হচ্ছে ফার্ণিচার প্যাকিং। ঘরের প্রতিটি ফার্ণিচার যদি ভালমত প্যাকিং করা না হয় তবে হবার সম্ভাবনা থাকে অধিক। বিশেষ করে ডাইনীং টেবিলের প্রতিটি চেয়ার ভালমত প্যাকিং করতে হয় টেবিলের টপ যদি কাচের হয় তবে গ্লাসটি গ্লাসটি খুলে মোটা ফোম অথবা মোটা কার্টুন দিয়ে প্যাক প্যাক করতে হবে, খাটে ব্যবহৃত তোষক দিয়েও পেচিয়ে বহন করা যায় যায়। মনে রাখতে হবে ট্রাকে উঠিয়ে খাড়া করে রাখতে রাখতে হবে এবং দুই পাশেই ব্যাক আপ হবে নতুবা ভেঙ্গে যাওয়ার আশংক থাকে।
বাসা বদলের পরিবহন:
বাসা বদলের জন্য বিভিন্ন ধরন ও সাইজের ট্রাক ও পিকাপ এর এর প্রয়োজন পরে। দুই বাসার দূরত্ব, বাসার মালামালের পরিমান ও ও কোয়ালিটির নির্ভর করে ট্রাক ট্রাক নিতে হবে। গাড়ির ট্রিপ কমাতে গিয়ে ঠাসাঠাসি করে মালামাল বহন বহন করলে জিনিসপত্র যাওয়ার যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথমে ঠিক করতে হবে আপনি কি কভারড ট্রাক ট্রাক ইউজ করবেন খোলা খোলা ট্রাক ইউজ করবেন।
বৃষ্টির দিনে কভার ট্রাক ইউজ করলে নিরাপদ থাকে থাকে। এজন্য একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে কভার কভার ট্রাক দিনের বেলায় ঢাকা সহ সকল বিভাগীয় বিভাগীয় শহরে প্রবেশে নিষেধাঘ্ঘা আছে আছে। এজন্য রাত ১০ থেকে সকাল ৭ টার মধ্যেই মধ্যেই কাজ সেরে ছেড়ে ছেড়ে দিতে হবে।
খোলা ট্রাক/ পিকাপ:
এক রুম কিংবা তার চেয়ে একটু বড় বাসা বদল করার ১ টন এর পিকাপ নিলেই হয়ে যায় যায়। ২ রুমের বাসার জন্য ২ টন এর পিকাপ নিতে হয় হয় যদি ২ বেড ড্রই ডাইনিং এর বাসা হয় হয় তবে ৩ পিকাপ পিকাপ প্রয়োজন হয়। যদি ৩ বেডের বাসা ও ড্রইং ডাইনিং আলাদা বাসা হয় তবে ৩ টনের ২ ট্রাক দরকার হয় হয়।। যদিও অনেক ক্ষেত্রে রুম হিসেব করে গাড়ির ব্যবহার হয়না হয়না। অনেকের ছোট বাসা মধ্যেই অনেক বেশী মালামাল থাকে থাকে। আবার বড় বাসার মধ্যেও কম মালামাল থাকে থাকে। সেই ক্ষেত্রে মালামালের বিবরণ শুনে অথবা সরাসরি বাসা বাসা ভিজিট করে হিসেবটা হিসেবটা করা হয়।
টেকনিশিয়ান:
আজকাল বেশীরভাগ বাসার ফার্ণিচারই খোলা এবং লাগানোর লাগানোর সিস্টেম থাকে। বাসা শিফটিং এর সময় পার্ট বাই পার্ট খোলা খোলা ছাড়া শিফটিং করা যায়না যায়না। অর্থাত স্ক্রু সিস্টেম। এই সিস্টেম ফার্ণিচারগুলো খুবই পিড়া দেয়। কয়েকবার বাসা বদল করলেই আর ব্যবহার এর এর উপযুক্ত থাকেনা। তবে প্রফেশনাল ও দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা ডিসমেন্টল ও রি সেটিং এর কাজটি করাতে করাতে পারলে অনেকটাই অক্ষত থাকে থাকে থাকে থাকে থাকে কারন প্রফেশানাল মিস্ত্রী আধুনিক যন্ত্রপাতী ও টুলস টুলস ব্যবহার করে থাকে, ফলে খোলা ও ফিটিং ফিটিং সময় লাগে খুব কম কম, সেটিং হয় নতুনের মত মত মত। যেসমস্ত আসবাবপত্র খুলতে হয় ও ফিটিং করতে হয় হয় তা হলো: খাট, আলমারী, শোকেস, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, শো-রেক, বুকসেলফ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ইলেকট্রিশিয়ান:
বাসা বদলের জন্য একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ানের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য অপরিহার্য। দক্ষ মিস্ত্রি না হলো আপনার শখের হোম এপ্লায়েন্সটি এপ্লায়েন্সটি খোলা ও ফিটিং এর সময় সঠিক অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে যেতে যেতে পারে। বিশেষ করে এয়াকন্ডিশন, গিজার, ওয়াশিং মেশিন, দেয়াল টিভি, বড় ডিসপ্লে’র এলইডি টিভি। এসব ইলেকট্রনিকস ডিভাইস গুলো একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা করাতে হবে আনারী টেকনিশিয়ান দ্বারা কাজ করালে ডেমেজ হয়ে যাওয়ার যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্য কাজ করানোর আগে খোজ খবর নিয়ে নেয়া কতটুকু দক্ষ দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।